চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় টেইলার্সদের এখন নির্ঘুম রাত। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে টেইলার্সদের দোকান গুলোতে ততোই বাড়ছে ব্যস্ততা। কারিগরদের এখন যেন দম ফেলানোর ফুরসত নেই। সময় মত পোশাক গুলো সরবরাহ করতে না পারলে ঈদ আনন্দ মলিন হবে ক্রেতাদের। তাই দিনরাত পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরা। প্রতিটি পোশাকে ১শত টাকা সেলাইয়ের মজুরি বেড়েছে।
ভেড়ামারা শহরের ডাকবাংলো সুপার মার্কেটের ঢাকা ফিটিং টেইলার্সের মালিক রেফাউল ইসলাম জানান, আমার দোকানে ৫ জন কারিগর কাজ করে। চাঁদ রাত পর্ষন্ত আমাদের কাছে যে কোন ফিটিং এর কাজ করতে আসলে সে কাজ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। রোজার প্রথম থেকেই প্রচুর কাজ পাওয়ায় খুশি। সময়মত পোশাকটি সরবরাহ করতেই এখন প্রাণপন চেষ্টা।
টেইলার্স মাষ্টার মিটন আলী জানান, ১০ রোজা থেকে সকল প্রকার অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এর ফলে গার্মেন্টস গুলোতে ভীড় বেড়েছে। কারিগররা দিন-রাত কাজ করেও শেষ করতে পারছেন না। সময় মতো সবার কাপড় ডেলিভারী করতে পারবেন কি না সে ব্যাপারে চিন্তার মধ্যে রয়েছি।
পাঞ্জাবি’র টেইলার্স মাষ্টার মামুন জানান, রোজার আগে খেকেই অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কোন বড় রকম তদবিরে ২-১ টা অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। কারিগররা মজুরি বাড়িয়ে দেওয়ায় এবার মজুরি বেড়েছে। এবারও পায়জামা-পাঞ্জাবির চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
লেডিস টেইলার্স মাষ্টার লাকি জানান, করোনার পর এবছর সব চেয়ে বেশি অর্ডার পেয়েছি। কারিগর কম থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রবাসীর স্ত্রীরা আগে ভাগেই কাপড় তৈরী করছেন। এবার পোশাক তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। তবে খরচ বাড়লেও এখনো মজুরি তেমন বাড়ানো হয়নি।
গৃহিণী আফরোজা বেগম জানান, কোনো কোনো দোকানের সামনে ‘অর্ডার বন্ধ’ লেখা পোস্টার লাগানো হয়েছে। অনেক অনুরোধের পর অর্ডার দিতে পেরেছি। তবে মজুরী বাড়িয়ে দেয়ার দাবী করেছেন কারিগররা। আমার সামনে অনেকে ফিরে যেতে দেখেছি।
নাসরিন আক্তার জানান, প্রতিটি পোশাকে ১শত টাকা সেলাইয়ের মজুরি বেড়েছে। তার পরও নিজেদের মতো পোষাক তৈরি করা আলাদা আনন্দ। সবার একই রকম পোষাক বানানোর জন্য একাধিক টেইলার্স মাষ্টারের কাছে খুরে তার পর অর্ডার দিতে পেরেছি।
0 Comments