এদিকে এ হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। হামলা, মামলা ও লুটপাটের ভয়ে গৃহপালিত পশু, মালামালসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের টহল, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের স্বজনরা জানান, সুদের টাকার লাভাংশের জেরে বর্তমান মেম্বর সবুজ, মেম্বরের চাচাতো ভাই জহুরুল ও সমর্থক মোক্তার হোসেনসহ বেশকিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র ফাঁলা দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে রাজ্জাককে হত্যা করে। থানায় মামলা করা হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
নিহতের ভাগিনা জিয়ারুর রহমান বলেন,তাঁর মামা একজন পল্লী চিকিৎসক। সকালে সবুজ মেম্বর লোকজন নিয়ে সুদের টাকা নিতে এসেছিল জাবেদ মেম্বরের কাছে। সেসময় মামা তাঁদের বলেছিলেন ঝামেলা না করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। কিছুক্ষণ পরে মেম্বর লোকজন নিয়ে এসে তাঁর চোখের সামনে মামাকে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, টাকা পয়সা নিয়ে প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মেম্বরের স্ত্রীসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
0 Comments