Random Posts

ভেড়ামারায় কৃষকের মুখে সোনালী হাসি

চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কৃষকের মুখে এখন সোনালী হাসি। এ বছর চৈতালিতে উল্লেখযোগ্য হারে চাষ বেড়েছে গম, ভুট্টা ও সরিষার। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। মাঠের পর মাঠে চৈতালিতে আবাদ দেখা গেছে।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলায় ১ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে যা গত মৌসুমের থেকে ১শত হেক্টর বেশি। ভুট্টা ৪শত ১৫ হেক্টর  যা গত মৌসুমের থেকে ৮০ হেক্টর বেশি। সরিষা ৪শত ৩০ হেক্টর যা গত মৌসুমের থেকে ৭০ হেক্টর বেশি চাষ হয়েছে। এছাড়াও আলু ৭৭ হেক্টর, রসুন ৫৮ হেক্টর,  মরিচ ১ শত ১০ হেক্টর, খেসারী ১৪৫হেক্টর,  মটর ৮০ হেক্টরসহ সবজি চাষ হয়েছে  ৮ শত ২৮ হেক্টরের বেশি জমিতে।
চলতি রবি মৌসুমে ভেড়ামারা উপজেলার ৪ হাজার ৭ শত ৮০ জন কৃষকে প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শতাধিক  জনকে প্রদর্শনী ক্ষেতের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।
প্রণোদনার আওতাভুক্ত চাষি জাহেদ আলী বলেন, কৃষি অফিস থেকে তিনি এবার মসুর প্রণোদনা নিয়ে চাষ করছেন, এতে তাকে বীজ ও সার কিনতে টাকা খরচ করতে হয়নি, তাই ফসলে বেশি লাভের আশা করছেন এই কৃষক।
সরিষা চাষি আসলাম বলেন, এবার ৩বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত জমিতে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। বরং সুন্দর আর স্বাস্থ্যবান বীজের দেখা যাচ্ছে। এতে ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হতে পারবো। সরিষা চাষে তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। যদি এ বছর সরিষার ভালো মূল্য পাওয়া যায়, তবে সব সরিষা চাষিই লাভবান হবেন।
হাবিব জানান, আমাদের জমিতে বর্ষাকালের বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারনে জমি ফেলে রাখতে হয়। ধান লাগানোর আগে পর্যন্ত এবার সরিষার প্রণোদনা নিয়ে সরিষার চাষ করেছি বেশ ভালো আবাদ হয়েছে ফলনও ভালো হবে আশা করছি।
সাইদুল ইসলাম বলেন, গত বছর ৩ বিঘা জমিতে ভূটার চাষ করে লাভবান হওয়ায় এ বছর ৫ বিঘায় ভূটার চাষ করেছেন। ভূটার ক্ষেত দেখে মনটা জুড়িয়ে যাচ্ছে। ফলন ভালো হবে বলেও আশা করি। আশা করছি ন্যায্য মূল্য পেলে আমরা এবারও লাভবান হবো।
ভেড়ামারা উপজেলার কৃষি অফিসার শায়খুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারায় এবার সরিষা, ভুট্টা ও গমের চাষ হয়েছে ব্যাপক। এছাড়া কৃষকদের সরকারি সহয়তার পাশাপাশি আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির কারনে চাষের খরচ কমেছে, চাষাবাদ সহজ  হয়েছে। কৃষকদের চাষে আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি নানান পরামর্শ দিতে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
 

Post a Comment

0 Comments