Random Posts

গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী-শ্বশুর আটক

চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় স্বামীর বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের নগরকয়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ইতি খাতুন (২৮) নামের ওই নারী নগরকয়া গ্রামের ভ্যানচালক আশরাফ হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ধারণা করছে, ইতি খাতুনকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ অভিযোগে তাঁর স্বামী আশরাফ ও শ্বশুর শুকুর আলীকে আটক করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি পাঠানো হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে।
নিহত ইতি খাতুনের স্বজনেরা বলেন, নগরকয়া গ্রামের আশরাফ হেসেনের সঙ্গে বড় ভালুকা গ্রামের ইতির বিয়ে হয় বছর চারেক আগে। তাঁদের সংসারে তিন বছরের একটি ছেলে আছে। পারিবারিক কলহের জেরে আশরাফ প্রায়ই ইতিকে মারধর করতেন। এ জন্য ইতি প্রায়ই বাবার বাড়িতে চলে যেতেন। শনিবার রাতে হঠাৎ ইতির মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যান তাঁর বাবা ও স্বজনেরা। গিয়ে দেখেন ইতির লাশের বাম হাত ভাঙা, মাথায় আঘাতের ফোলা, গলায় দাগসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন।
নিহত ইতির বাবা সামছুল মণ্ডল বলেন, ‘মেয়েকে তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে পিটিয়ে এবং গলা টিপে হত্যা করেছেন। মেয়ের বাম হাত ভাঙা, মাথা ফুলে গেছে আর গলায় কালো দাগ। আমি গরিব মানুষ, মেয়ে হত্যার বিচার চাই আমি। এ ঘটনায় থানায় মামলা করব।’
তবে এ অভিযোগের সঙ্গে একমত নন ইতি খাতুনের শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন। তিনি বলেন, ‘ব্যাটার (ছেলের) বউয়ের মিরকি (মৃগী) ব্যারাম (রোগ) ছিল। (শনিবার) রাতে মিরকি ব্যারাম রোগেই মারা গেছে। পুলিশ আমার ছেলে, স্বামী, ভ্যান ও লাশ নিয়ে গেছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন হোসাইন বলেন, রাতে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধারের পর রোববার সকালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির একটি হাত ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও ফোলা আছে। গলায় শ্বাসরোধের দাগ আছে। তাঁকে দিনের কোনো একভাগে শ্বাসরোধ ও পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Post a Comment

0 Comments