চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় খালে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে বাশার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। এর আগে রোববার বিকেলে উপজেলার নওদাপাড়া (ক্যানালপাড়া) জিকে খালে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় সে। মৃত বাশার নওদাপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। সে ভেড়ামারা পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্রের বাবা বিল্লাল হোসেন রোববার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির পাশে জিকে খালে গরুর গোসল করাতে যান। এ সময় ছেলে বাশার তাঁর সঙ্গে ছিল। একপর্যায়ে গরু নিয়ে বিল্লাল খাল থেকে উঠে আসেন এবং ছেলে বাশারকেও উঠতে বলেন। পরে বাড়িতে গরু নিয়ে গেলে বাশারের মা জানতে চান, ছেলে কই। গরু রেখে বিল্লাল হোসেন আবার খালের কাছে ছুটে গেলেও বাশারকে পাননি। পরে স্থানীয় লোকজনসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাশারকে উদ্ধার করতে খালে নামেন। রাত ১০টার দিকে খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দল রাত ১টা পর্যন্ত সন্ধান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি।
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর আজ সোমবার সকাল ৬টায় ডিঙি নিয়ে খালে মাছ ধরতে আসা এক জেলে সুলতানিয়া মহিলা মাদ্রাসার সামনে সিঁড়ি ঘাটের কাছে একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন বাশারের মরদেহ শনাক্তের পর উদ্ধার করেন।
জানা যায়, বিল্লাল দম্পতি নিঃসন্তান ছিলেন। ১২ বছর আগে ছোট্ট বাশারকে পোষানি (দত্তক) নেন তাঁরা। এর আগে বাশারের সুস্থতার জন্য বাবা বিল্লাল প্রচুর অর্থ খরচ করেছেন। ছেলেকে খুবই ভালোবাসতেন তিনি।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের সাবস্টেশন অফিসার আজিজুল হক বলেন, নিখোঁজের পর থেকেই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সন্ধান চালানো শুরু করেন। খুলনা থেকে আসা ৪ সদস্যের ডুবুরি দল রাত ১টা পর্যন্ত সন্ধান চালায়। সোমবার সকাল ৬টায় স্থানীয় লোকজন বাশারের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। ধারণা করছি, বাশার দ্রুত খালের সিঁড়ি ঘাট দিয়ে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে ডুবে যায়।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
0 Comments