চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি সুজনের চিকিৎসায় সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মসলেমপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ৩৫ বছরের যুবক সুজন। ছয় বছর ধরে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তাঁর চিকিৎসার জন্য ধার-দেনা ছাড়াও জায়গা-জমি, বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গোয়ালের গরু বিক্রি করে দিয়েছেন তাঁর বাবা। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে বাড়িটুকুই অবশিষ্ট আছে তাঁদের। দিনমজুরি ও রঙের কাজ করতেন সুজন। নিজের স্ত্রী ও বাবা-মার সাথে ছিল সুখের সংসার। প্রায় ছয় বছর আগে চিকিৎসা করতে গিয়ে ধরা পড়ে তাঁর কিডনিতে সমস্যার কথা। বর্তমানে একটি কিডনি শতকরা ৭৬ ভাগ এবং অপর কিডনি শতকরা ৭০ ভাগ অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। এজন্য তাঁকে প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। কিডনি সমস্যা থেকে পানি জমতে শুরু করেছে ফুসফুস এবং হৃদপিন্ডেও। ইতোমধ্যেই ফুসফুস থেকে দুই দফায় ৮ লিটার এবং হৃদপিণ্ড থেকে প্রায় ৩ লিটার পানি বের করা হয়েছে। বর্তমানে প্রত্যেক সপ্তাহে তাঁর কিডনি ডায়ালাইসিস করতে খরচ হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তাঁর সাথে রয়েছে ওষুধপত্রের খরচ। যা বহন করা তাঁর পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সুজনের বাবা রঞ্জন শিল্পী আবদুল কুদ্দুস জানান, ইতোমধ্যে ধার-দেনা ও গোয়ালের গরু বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছেন। এখন মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তাঁর ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। চোখের সামনে ছেলের নিস্তেজ হয়ে যাওয়া দেখে পাগল প্রায় মা ঝুড়ি বেগম। ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবানরা সহায়তা করবেন এমন আকুতি তাঁর। সরকার, সামাজিক সংগঠন, হৃদয়বান ব্যক্তি, সমাজের বিত্তবান সহযোগিতায় সুস্থ হয়ে উঠবেন এমনই স্বপ্ন নিয়ে আবারো নিজের হাতে কাজ করে খেতে চান সুজন। আর্থিক সাহায্যের জন্য নগদ একাউন্ট নাম্বার হলো ০১৭২২২২৬৮১৩ (সুজনেরর বাবা)।
0 Comments