চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার শহরতলীতে শিশু সুরাইয়াকে ধর্ষনের পর হত্যার প্রতিবাদে ও ধর্ষক ঘাতকদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবীতে শিশু সুরাইয়ার মায়ের আর্তনাদ ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে মঙ্গলবার দুপুরে ডিসি কোর্ট চত্বরের সামনে। শহরের মিলপাড়ায় সাত বছরের শিশু সুরাইয়া খাতুনকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। সুরাইয়ার বাবা রুবেল তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন মিলপাড়া এলাকার রেজন ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫), দুলুর ছেলে মো. ইনছান (৪৩) ও গোলাম মোস্তফার ছেলে সুমন (৩০)। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক।
এর আগে গত শনিবার রাতে সুরাইয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে বিকেল চারটা থেকে ওই শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই সময় সুরাইয়ার পরিবারের অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যা নয়, সুরাইয়াকে ধর্ষনের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।
ওই শিশুকে কেন হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, সেই ব্যাপারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) সাব্বিরুল আলম। তিনি বলেন, শিশুর মৃত্যু নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা ও রহস্য আছে। তবে এটা ঠিক, তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কয়েকটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। সেগুলো ধরে আগানো হচ্ছে। খুব শিগগিরই রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা তাঁদের প্রতিবেশী ও মাদকাসক্ত। আসামিদের সঙ্গে তাঁদের আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছে। তাঁরা যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সুরাইয়াকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বলছে, শনিবার রাতে যখন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সুরাইয়াকে নেওয়া হয়েছিল, তখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার খাতায় তথ্য দেওয়া হয়েছিল, সুরাইয়া পানিতে ডুবে গিয়েছিল। তবে ওই সময় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুরাইয়ার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা বলেন, সুরাইয়া আত্মহত্যা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থলে পর্যবেক্ষণ করে ধারণা করে হচ্ছে, সুরাইয়া আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে এ ঘটনার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্য জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
0 Comments