হোয়াইট হাউস জানায়, তারা ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে একটি ফোনকলে বাইডেন মস্কোর আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্য আমেরিকা ও মিত্র রাষ্ট্রগুলো যেভাবে ‘খরচ’ বাড়িয়েছে, তা তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া অন্যান্য পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বাইডেন ইউক্রেনের নিরাপত্তা, মানবিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা বাড়াচ্ছেন বলে জানান। যোগ করেন, অতিরিক্ত তহবিল সুনিশ্চিত করতে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।’
এদিকে ইউক্রেনিয়ান পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি ইউক্রেনের অপারেশনের ‘দক্ষতা এবং সাহসিকতার’ প্রশংসা করেন তিনি। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এদিন মার্কিন সেনেটরদের সঙ্গে জুম কলে কথা বলেন।
এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে এ সপ্তাহের শেষনাগাদ প্রায় ১৫ লাখ মানুষ অন্য দেশে চলে যাবে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। এ সংখ্যা ৪০ লাখের ঘরে পৌঁছাতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
সারি সারি বিছানা, একই ছাদের নিচে অসংখ্য মানুষ। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ সবাই রয়েছেন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে। বৃদ্ধদের কপালে দুশ্চিন্তার স্পষ্ট রেখাগুলো বলে দিচ্ছে নিজ দেশের মাটি ছেড়ে, অন্যদেশের শরণার্থী হওয়ার গল্প।
স্থানীয় সময় শনিবার শত শত ইউক্রেনের নাগরিক আশ্রয় নেন মলদোভার একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, কেউবা একা।
একজন নাগরিক বলেন, আমরা এখানে কোনো রকমে পৌঁছাতে পেরেছি। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের এখানেই থাকতে হবে। আমরা জানি না আমরা কোথায় যাব। আত্মীয়স্বজন, স্বামী-সন্তান সবাইকে রেখে চলে আসতে হয়েছে।
0 Comments