জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল ॥
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডলকে প্রক্যাশে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ-জাসদের মধ্যে চলছে শত্রুতা। এখন মখোমুখি আওয়ামী লীগ-জাসদ। এ ঘটনায় এলাকায় থমথম বিরাজ করছে। সিদ্দিক মন্ডল হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কুষ্টিয়া-১২। পাল্টাপাল্টি চলছে আওয়ামী লীগ ও জাসদের মধ্যে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল, লাশ নিয়ে মানববন্ধনসহ দুই দলের বিবৃতি। আওয়ামী লীগ ও জাসদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় রকম সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাড়ি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি’র সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি। দু’জন দুই এলাকার সংসদ সদস্য হলেও নিজের এলাকায় তাদের অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা প্রবণতা দেখা যায়। তাদের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকে, প্রায়ই ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা।
বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলের মাঝামাঝি সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদসহ আরও বেশ কিছু দল। এরপর তিনটি জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গেই করে সবাই। এখনও এই জোটের সম্পর্ক অটুট। তবে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নিজের এলাকা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পরিস্থিতি উল্টো। সেখানে দুই পক্ষ এখন মুখোমুখি।
আগে থেকে উত্তেজনার মধ্যে ভেড়ামারায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা খুন হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও জাসদ নতুন করে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ।
গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি’২২ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ভেড়ামারার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মণ্ডলকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, তার ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনসহ ২০ জনের নামে মামলা করেন নিহত সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মণ্ডলের চাচাতো ভাই ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের মেন্বার এনামুল হক মণ্ডল।
জাসদকে দায়ী করে দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের জন্য আলটিমেটাম দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের অভিযোগ, স্বাধীনতার পর গণবাহিনী গঠন করে জাসদ যেভাবে সশস্ত্র বিপ্লবের চেষ্টা করেছিল, এই ঘটনা সেই স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।
অন্যদিকে জাসদ নেতারা বলছেন, ৫০ বছরের পুরোনো সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে যেন তাদের সভাপতি ইনু হাসানুল হক ইনু বেকায়দায় পড়েন, সে জন্য রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে একটি চক্র একে রাজনৈতিক রং দিচ্ছে।
মামলা থেকে জাসদের ২ নেতাদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে দলটির ভেড়ামারা উপজেলা শাখা। ভেড়ামারা শহরে বিক্ষোভ দেখান দলের নেতা-কর্মীরা। জাসদের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম আনছার আলী তার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনে নামার ঘোষণাও দেন।
এই জাসদ নেতা আনছার আলী বলেন, এই এলাকায় তাদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু নির্বাচন করেন। সেই নির্বাচনকে লক্ষ্য করে জাসদকে দুর্বল করতে সুযোগ পেয়ে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
এর আগে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারাও জাসদ নেতাদের গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দেন।
ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমুল ইসলাম ছানা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার মাধ্যমে জাসদ গণবাহিনী আবার স্বরূপে ফিরেছে। তারা এই এলাকায় আবার অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখাতে চায়, পরিবেশ অশান্ত করতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীরা তা কখনও হতে দেবে না। জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করুন। না হলে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে।
নেপথ্যে ইনু-হানিফের বিরোধ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাড়ি জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের। ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা মিলিয়ে কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত আর মাহবুবউল আলম হানিফ সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। দুজন দুই এলাকার সংসদ সদস্য হলেও নিজের এলাকায় তাদের অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষমতা প্রদর্শনের একটা প্রবণতা দেখা যায়। তাদের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকে, প্রায়ই ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা।
আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগ ও জাসদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নেতা-কর্মীরা আমাকে জানিয়েছেন। আমাদের একজন স্থানীয় নেতা খুন হয়েছেন। এটা জানার পর, আমি প্রশাসনকে আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি, নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, এটি রাজনৈতিক কোনো ঘটনা নয়। এটি স্থানীয় গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব। এটাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি ঘটনা সম্পর্কে জানামাত্র, স্থানীয় প্রশাসনকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
অতীতের যত বিরোধ
২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগ-জাসদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক দিন আগে বাহাদুরপুরে যুবলীগ অফিসে হামলার ঘটনার জের ধরে এ দিন দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
জাসদ নেতা-কর্মীরা ফারাকপুর রেলগেট এলাকায় সিরাজ মেম্বারের ডেকোরেটরে বসে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় আহত হন বেশ কয়েকজন।
এই খবর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা জাসদ কর্মীদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা জাসদ কর্মীদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ভেড়ামারার ইসলামপুর এলাকায় দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। সেদিন আওয়ামী লীগ ও জাসদের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
ওই বছরের ২৪ জুন আরেক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। গত বছরের ১৬ জানুয়ারি ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোটের শরিক দুই দল মুখোমুখি অবস্থান নেয়। দুই দলের নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে মাঠ গরম করে ফেলেন।
১০ জানুয়ারি রাতে ভেড়ামারা পৌর এলাকার ৩ নং ব্রিজের কাছে মশাল সমর্থকরা ডকুমেন্টরি প্রজেক্টর চালাতে গেলে মশাল ও নৌকা সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় হট্টগোল। সেখানে সংঘর্ষে আহত হন ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া ও উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক এস এম আনছার আলী। সেদিন কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে জাসদের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করা হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামিমুল হক ছানাকে হারিয়ে জাসদের আনোয়ার কবীর টুটুল জেতেন।
সদ্যঃসমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই পক্ষ সংঘর্ষে না জড়ালেও একে অন্যকে আক্রমণ করে কথা বলেছে। কার শক্তি কত বেশি, এ নিয়ে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেয়া হয়েছে বহুবার। প্রায় এক ডজন আওয়ামী লীগ ও জাসদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডল নিহত
১৮ ফেব্রুয়ারি’২২ শুক্রবার সকাল ৯টার সময় কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডলকে প্রক্যাশে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় আরও ৩ ভাইসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাঁদের কে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চাঁদগ্রাম চরপাড়া মাঠে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডল চাঁদগ্রামের ওমর আলী মন্ডলের ছেলে। গুলিবিদ্ধরা হলেন, চাঁদগ্রামের নিহতের ভাই ও ওমর মন্ডলের ছেলে আনিসুজ্জামান ইউনুস মন্ডল (৪৮), আব্দুল খাল্লেক (৪৪), বাদশা মন্ডল (৪৪) এবং ওই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে আবু বক্কার কুব্বাত (৩৬) সহ ৫জন। এর মধ্যে আহত বাদশা মন্ডলের পায়ের রগ কেটে যাওয়ায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। র্দীঘ দিন ধরে মন্ডল ও মালিথা বংশেল মধ্যে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিলো । এরই জের ধরে সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডলকে গুলি করে হত্যা করেছে।
লাশ নিয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশে
ভেড়ামারার চাঁদগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডল (৫২) হত্যাকারীদের ধরতে ১৮ ফেব্রুয়ারি’২২ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার সময় ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভেড়ামারা উপজেলা শাখা। বক্তব্য রাখেন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম চুনু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বুলবুল কবীর, সাধারন সম্পাদক আঃ হামিদ প্রমুখ।
জাসদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
২০ শে ফেব্রুয়ারি রোরবার বিকালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ভেড়ামারা উপজেলা শাখার উদ্যোগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুল আলীম স্বপন ও তার ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভেড়ামারা উপজেলা যুবজোটের সভাপতি আঃ হাফিজ তপনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় বাসষ্টান্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভেড়ামারা উপজেলা জাসদের সভাপতি এমদাদুল ইসলাম আতা, সাধারন সম্পাদক এসএম আনছার আলী, পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবীর টুটুল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার স্থানীয় বাসষ্টান্ডে ২১ শে ফেব্রুয়ারি সোমাবার বিকালে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডলের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সমাবশে সভাপতিত্ব করেন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম চুনু। বক্তব্য রাখেন, ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা, কোষ্যাদক্ষ্য জাকির হোসেন বুলবুল, পৌর সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল, সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু, বুলবুল কবির, শনিফুজ্জামান নবাব, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন শামীম, সাধারন সম্পাদক মানিক মিয়া প্রমুখ।
সিদ্দিক মন্ডল হত্যা মামলার ৫ আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগের নেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডল হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) কুষ্টিয়া-১২। বুধবার দিবাগত রাতে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়। র্যাব বলছে, হত্যায় ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বংশগত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামের মিন্টু মালিথা (২৯), চাঁদগ্রামের রনি মালিথা (২৩০), জনি (২৭), ড্যানি (২৬) ও জারমান প্রামাণিক (৪২)। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু মালিথা ও রনি মালিথার দেখানো জায়গা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার র্যাব-১২ এর পাঠানো বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার মিন্টু মালিথা ও রনি মালিথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের ভেড়ামারা থানায় সোপর্দ করেন। ভেড়ামারা চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক মন্ডলকে কে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর আপন তিন ভাই ও এক ভাতিজা গুলিবিদ্ধ হন। সিদ্দিকুরের চাচাতো ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
0 Comments