মোশারফ হোসেন ॥ মানুষ ও মৌমাছির মধ্যে মিল বন্ধন দেখা যাবে কুষ্টিয়ার খোকসা পূর্ব আমবাড়িয়া জামে মসজিদে গেলে। মৌমাছির বাসা উপরে আর মসজিদে নামাজ পড়ছে এলাকাবাসী। মৌমাছি গুলো মানুষের সঙ্গে মিলে মিশে বসবাস করছে। এমন দৃশ্য দেখে যে কারোরই মন জুড়িয়ে যাবে। একে অপরের কোন ক্ষতি না করেই বছর পর বছর ধরে তাদের বসবাস।
এমন মসজিদ টি দেখা মিলবে, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের পূর্ব আমবাড়িয়া জামে মসজিদের দেয়ালে। মসজিদের চারদিকের কার্নিশ, সিলিং, বারান্দার দেয়াল, ভবনের পাশে এবং গাছের ডালেও রয়েছে মৌমাছির চাক বা বাসা। মসজিদে রয়েছে ৮/১০ টি মৌচাক। এখনো নতুন নতুন মৌমাছি এসে বাসা বাঁধছে । তাই এলাকাবাসী মসজিদ টিকে মৌমাছি মসজিদ বলে নামকরণ করেন অনেকেই। গত ২/৩ বছর ধরে এই মসজিদে বাসা বাঁধছে মৌ-মাছি গুলো। তবে কয়েক বছরের তুলনায় এবছর মৌ-মাছি বাসা বেধেছে বেশি।
একটি-দুটি নয় ৮/১০ টির বেশি মৌমাছির চাক রয়েছে মসজিদে। এক তালা ভবনের কার্নিশ, বারান্দার অংশসহ প্রায় সব জায়গায় বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। এমনকি ভবনের আশপাশের গাছেও মৌমাছির বাসা দেখা গেছে।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু বক্কর মন্ডল বলেন, ২/৩ বছর ধরে মসজিদে মৌমাছি বাসা বেঁধেছে। আমাদের কোন ক্ষতি করে না মৌমাছি গুলো, আমাদের ভালো লাগার কারনেই মৌ-মাছি গুলোর কোন ধরনের ক্ষতি হতে দেইনা । প্রতি বছর এই মৌ-মাছির চাক গুলো থেকে মধু সংগ্রহ করে বেশ কিছু টাকা পাওয়া যায়। যাদিয়ে মসজিদের উন্নয়নে খরচ করে থাকি।
এলাকার মিঠু হোসেন বলেন, এই মৌমাছি আমাদের কামড় দেয় না। আমাদের বাচ্চারা এই জায়গায় খেলা ধুলা করে তাদেরও কোন ক্ষতি করে না। মসজিদে নামাজের জন্য সবাই আসে তাদেরও কোন কামড় দেয় না এই মৌমাছি গুলো। আমরাও এই মৌমাছির কোন ক্ষতি করিনা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর ধরে মসজিদে মৌমাছির চাক থাকলেও আমাদের কারো কোন ক্ষতি করে না। এলাকাবাসীরা মৌচাকগুলো দেখে রাখেন। প্রতিবছর সংগ্রহ করা মধু বিক্রির টাকা মসজিদের কাছে লাগানো হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসেন এই মৌমাছির চাক দেখার জন্যে। অনেকেই এসে ছবি তুলেন।
প্রাণীবিজ্ঞানীদের মতে মৌমাছি সব সময় নিরাপদ ও পর্যাপ্ত খাবার যেখানে থাকে সে স্থানে বাসা বাঁধে। গ্রামটিতে প্রচুর সরিষার আবাদ হয় এটিও মৌমাছির বাসা বাঁধার অন্যতম একটি কারণ।
0 Comments