চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে জন্ম নেয়া ৫ সন্তানের মধ্যে চার জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে জীবিত দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এর আগে বুধবার সকালে পাঁচ নবজাতকের মধ্যে একমাত্র পুত্র সন্তান এবং দুপুর আড়াইটা এবং সাড়ে তিনটার দিকে দুই কন্যা সন্তান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। জীবিত একমাত্র সন্তানের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, নবজাতকগুলোর ওজন কম হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা আর্থিক অসঙ্গতির কারণে শিশুদের ঢাকায় নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। জন্মের পর থেকে বাচ্চাগুলোকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ নবজাতকের মধ্যে চার জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বাকি একজনের অবস্থায়ও সংকটাপন্ন।
এদিকে ওই পাঁচ সন্তানের বাবা সোহেল রানা জানান, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার মতো একজন সামান্য চা দোকানির পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে প্রথমবারের মতো নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন (২৫)। পাঁচ শিশুর মধ্যে একটি ছেলে সন্তান বাকি চার জন মেয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। বাচ্চাদের ওজন ছিল ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে।
এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেওয়া গৃহবধূ সাদিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার দরিদ্র চা বিক্রেতা সোহেল রানার স্ত্রী।
0 Comments