Random Posts

ভাঙছে হরিপুর সংযোগ সেতু রক্ষা বাঁধ ॥ হুমকিতে শেখ রাসেল সেতু

চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥  কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু রক্ষা ব্লক বাঁধের ধসে পড়া অংশ থেকে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। বুধবার রাত থেকে এই ভাঙন দেখা দেয়। বাড়ি নদে বিলীন হয়ে গেছে। নদতীরবর্তী বাসিন্দারা তাদের বাড়ির অংশ খুলে ও মালামাল দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া হাটশ হরিপুর এলাকায় বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার ব্লক গড়াই নদে বিলীন হয়। ধসে পড়া বাঁধের পাশেই গ্রামের মানুষের বসতি। ব্লক ধসে পড়ায় একটি বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। গত তিন দিনে পানি আরও বেড়েছে। বাঁধের কয়েক মিটার পাশে থাকা বাড়ির দিকে পানি চলে যাচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে আছে বাড়িঘরগুলো। নদতীরবর্তী বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বুধবার বিকেলের পর সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে অন্তত ১ হাজার ৬০০ বস্তা ফেলা হয়। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি।
হঠাৎ করে সেখানে পানির নিচ থেকে বুদ্বুদ উঠতে থাকে। একপর্যায়ে ব্লক বাঁধ ভাঙতে থাকে। এ সময় তীরবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাকা দালানের বাসিন্দারা রাতের আঁধারের মধ্যে দ্রুত তাদের আসবাব অন্যত্র সরাতে শুরু করে।
সামসুল হক নামের এক ব্যক্তির একটি বাড়ি ভেঙে তলিয়ে যায়। পাশেই মোজাম্মেল হকের পাকা বাড়ির কিছু অংশ ভেঙে তলিয়ে যায়। ব্লক বাঁধ ভেঙে সেতুর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। ভাঙন সেতুর কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। ভাঙনস্থল থেকে মাত্র এক শ মিটার দূরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওই সেতুর অবস্থান।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম সম্পা মাহমুদ বলেন, ‘ভেঙে পড়া অংশে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। কিন্তু পানির স্রোত তীব্র হওয়ায় ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছি। প্রকৃতির কাছে হার মানতে হচ্ছে।’
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথম দিনের ভাঙনের পর যদি দ্রুত বাঁধ প্রতিরোধক গড়া যেত, তাহলে ঘটনা নাও ঘটতে পারত। এখানে প্রশাসনের গাফিলতি আছে বলে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার কিছু বস্তা ফেলা হয়েছিল। মঙ্গলবার বিকেলেও ফেলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments