চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক ॥ করোনার নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ৫২ জন চিকিৎসককে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহ হাসপাতালে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিআরবি গ্রুপের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১০ পিস হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, ৬৬ পিস অক্সিমিটার ও ১০০ পিস অক্সিজেন ফ্লু মিটার প্রদান করা হয়।
এদের মধ্যে কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ২৬ জন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৫ জন এবং ঝিনাইদহ জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন চিকিৎসককে সংযুক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে একযোগে ৫২ চিকিৎসককে তিন হাসপাতালে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ৯২ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ৪৩ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। নতুন ২৬ জন যোগ হওয়ায় বর্তমানে কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৯ জন।
এদিকে রোগীর চাপ অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায় জেলার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। হাসপাতালের সংকট মোকাবেলায় সোমবার বিকেলে বিআরবি গ্রুপের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, ১০ পিস হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, ৬৬ পিস অক্সিমিটার ও ১০০ পিস অক্সিজেন ফ্লু মিটার প্রদান করা হয়।
এ সময় বিআরবি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক শেখ শামসুজ্জামান ও দীপেন কুমার দাশ জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেনের উপস্থিতিতে এ সব চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর করেন।
একই সঙ্গে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে আরও ৫০টি, বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সেতুর চেয়ারম্যান আবদুল কাদেরের পক্ষ থেকে ১০টি ও বেসরকারি ব্যাংক ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পক্ষ থেকে ১০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা তিন দফায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে হতে ৩০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কুষ্টিয়া জেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন করোনা রোগী পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালে রোগীর চাপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিচ্ছে।
0 Comments