জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভিড়। সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এখান থেকে উত্তরণের সমাধান হাসপাতালটি ৫০ বেড থেকে বাড়িয়ে ১০০ বেডে উন্নীত করা এখন সময়ের দাবি। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে সাধারণ রোগীদের উপর বিধি নির্দেশ আরোপ করায়, চাপ পড়েছে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুরুল আমিন জানান, ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন বেড, কেবিন, খালি নেই। বাধ্য হয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে রোগীরা। জরুরী বিভাগে চলছে নন স্টপসার্ভিস। হাসপাতালটি ৫০ বেড থেকে বাড়িয়ে ১০০ বেডে উন্নীত করা হলে রোগীরা আরো বেশি সেবা পাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ব্যাবস্থাপনা কমিটি’র সদস্য ও প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জুয়েল জানান, প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে শত শত রোগী এই হাসপাতালে আসে। প্রতিদিন জরুরী বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে গড়ে ৩ শত থেকে ৪ শত রোগী দেখেন। বেডের অভাবে রোগীরা এখন ফ্লোরে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে ১০০ বেডে উন্নীত করা হলে রোগীরা আরো বেশি সেবা পাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র ব্যাবস্থাপনা কমিটি’র সদস্য ও কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল আলিম স্বপন বলেন, অত্র এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ বেড থেকে বাড়িয়ে ১০০ বেডে উন্নীত করণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ডিও লেটারসহ যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। শীঘ্রই হাসপাতালটি ১০০ বেডে উন্নীত করণসহ সকল সমস্যা দূর হবে।
রোগী আমেনা বেগম জানান, হাসপাতালে এখন আগের তুলনায় অনেক সেবা পাচ্ছি। সবসময় ডাক্তাররা আমাদের খোঁজখবর নেয়। কোন সমস্যা হলে ডাক্তারকে ডাকার সাথে সাথে চলে আসে।
অভিভাবক হাসান আলী বলেন, আমার মেয়েকে রাত ৩টার সময় হাসপাতালে নিয়ে আসি। জরুরী বিভাগের ডাক্তাররা মেয়েকে দেখার পর ভর্তি করে নেয়। এক সময় নিরাপত্তার কারণে হাসপাতালে রাতে কোন ডাক্তার থাকতো না। এখন সব সময় ডাক্তার থাকে।
0 Comments