Random Posts

বাহাদুরপুরবাসীর হৃদয়ের ছবিতে ক্যারিশমেটিক চেয়ারম্যান আসিকুর রহমান ছবি


চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক \ সৎ, নির্লোভ, পরোপকারী, মিষ্টভাসী, বন্ধু সুলভ আচরণ, অসাধারন মানবিক গুণ সম্পন্ন ও দায়িত্ব পরায়ন যোগ্য ব্যক্তি, এই সমাজে বা জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে এ সকল গুণ এখন অনেকটাই ¤øান। কিন্তু এমন কিছু মানুষ এই সমাজে বা জনপ্রতিনিধি আছেন, তাদের কারনেই জনপ্রতিনিধিদের গুরুত্ব বাঁিচয়ে রেখেছেন। তাদেরই মধ্যে বাহাদুরপুর ইউনিয়নবাসীর প্রিয় মুখ ও জননন্দিত, জনপ্রিয় ও ক্যারিশমেটিক চেয়ারম্যান ও জাসদ নেতা আসিকুর রহমান ছবি একজন। তার আলোয় সমগ্র বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আলোকীত হয়ে আছে ইউপিবাসীর হৃদয়ের ছবিতে আসিকুর রহমান ছবি পাকা স্থান করে নিয়েছেন।

ভেড়ামারা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বাহাদুরপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন। উপজেলায় রাজনীতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভাবে অনেকটাই গুরুত্ব বহন করে এই ইউনিয়ন। বিগত ৩০ বছরের ইউনিয়ন পরিষদের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা এবং বর্তমান সময়ের পরিচালনার পার্থক্য আকাশ-পাতাল। বর্তমানে অত্র ইউনিয়নে উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়ন এবং ইউপি পরিষদ থেকে সেবার পরিধি শতভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এর পেছনের যে মানুষটির বিশাল অবদান, যিনি ইতিমধ্যে বাহাদুরপুর ইউপিবাসীর আস্থা ও হৃদয়ের ছবিতে স্থান করে নিয়েছেন, সে হচ্ছে অত্র ইউনিয়নের উন্নয়নের কারিগর, সৎ, নির্লোভ, মিষ্টভাসী ও সব বয়সী নারী-পুরুষের বন্ধু জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আসিকুর রহমান ছবি। অতীতের ৩০ বছরে ইউনিয়নে যা উন্নয়ন হয় নাই, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরেই তার সুচারু পরিচালনায় ও দক্ষতার কারনে শিক্ষা, যোগাযোগ, শত ভাগ বিদ্যুতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে বাহাদুরপুর ইউনিয়নবাসী। বর্তমানে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এখন উপজেলার মধ্যে একটি উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি শুধু সফল চেয়ারম্যানই নন, তিনি একজন সৎ, ত্যাগী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সভাপতি। জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ আব্দুল আলীম স্বপনের খুব কাছের ও ¯েœহধন্য ব্যক্তি। উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন তার নেতৃত্বের ক্যারিশমা।

জনতার বন্ধু ও ক্যারিশমেটিক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আসিকুর রহমান ছবি ২০১৬ সালের ৩১শে মার্চের নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। তিনি ১৪ই আগষ্ট ২০১৬সালে দায়িত্ব গ্রহন করেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পূর্বে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন ছিল অবহেলিত জনপদ, দূণীতি, স্বজনপ্রীতি, হানাহানি, রাজনীতি ছিল বিশেষ একটি গোষ্ঠির কাছে জিম্মি এবং শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থাসহ নানা সমস্যায় ছিল বেহাল দশা। ছিল না মানুষের নিরাপত্তা বা বাক স্বাধীনতা। অথচ তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে সুদক্ষ্য পরিচালনায় ও পরিকল্পনায় বিগত দিনের সমস্যাগুলো চিরতরে নির্বাসনে পাঠিয়ে বাহাদুরপুর ইউনিয়নকে করেছে উপজেলার উন্নয়নের রোল মডেল। এর পিছনে ছিল অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কারিশমেটিক কার্যক্রম ও বন্ধু সুলভ আচরণ।

উন্নয়নের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য শিক্ষা, যাতায়াত, শত ভাগ বিদ্যুতায়ন ও সামাজিকরণ। শিক্ষার মান উন্নয়নে বিদ্যালয় গুলোর ভবন নির্মাণ, মাদ্রাসার ভবন নির্মান ও এসএসসি পরীক্ষার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার সেন্টার স্থাপন, কলেজের ভবন নির্মাণ, শিক্ষার মান উন্নয়ন। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। অত্র ইউনিয়নের ৪০ কিলোমিটার পাকা ও সিসি ঢালাই রাস্তা ও ব্রীজ কালভার্ট সুষ্ঠ্য ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত দিনের নিয়ম ভেঙ্গে ইউপি পরিষদ থেকে  যে কোন শ্রেনীর সার্টিফিকেট বা অন্য কোন কাজে জনগণের কাছে জোর পূর্বক টাকা আদায় বন্ধ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদকে তৈরী করা হয়েছে জনগণের সেবাকেন্দ্র হিসাবে। বিড়ি শিল্প থেকে আয়ের উৎস তৈরী হয়েছে। যেটা আগে ছিল না। বর্তমানে বিড়ি শিল্প থেকে আয়ের উৎস ইউনিয়ন পরিষদের কোষাগারে জমা হয়।

জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আসিকুর রহমান ছবি বলেন, সামাজিক উন্নয়নে বাজারে একটি পাবলিক টয়লেট, অডিটোরিয়াম নির্মান, ঈদগাহ সংস্কার ও নির্মাণ, রাস্তার ধারে সেড নির্মাণ, বিভিন্ন এলাকায় পুরাতন বট গাছের নিচে পাকাকরণসহ বহু উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়েছে এবং নির্মাণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করে বলেন, বাহাদুরপুর গোষ্টিগত সমস্যার জন্য মানুষ এতোটাই বিপদে থাকতো যে, কেউ চাইলেও তা থেকে বের হতে পারতো না। ব্যবসায়ীরা ঠিক মত ব্যবসা করতে পারতো না, কারন যে কোন সময় লাঠিসোটা নিয়ে দাঙ্গা বাধিয়ে দিতো। আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক কে মারামারি থেকে বিরত থাকার জন্য নিরুৎসাহী করেছি। বর্তমানে ঐ গোষ্টির কবল থেকে বের করে আনতে অনেকটাই সক্ষম হয়েছি। আর এর পেছনে প্রবলভাবে সহযোগীতা করেছেন বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শান্তি প্রিয় মানুষ।

করোনাকালীন দূসর্ময় নিয়ে তিনি বলেন, মা-বোন ভাই আমার দুয়ারে যারাই দুমুঠো চাউলের জন্য এসেছে, তাদের কাউকে খালি হাতে ফেরত যেতে দেয়নি। আমি আমার সাধ্যমত সকলকে সহযোগীতা করার চেষ্টা করেছি। করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে তার পাশে থেকেছি, সার্বিক সহযোগীতা করেছি। করোনাকালে ত্রাণ ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিয়ে অনেকেই চেষ্টা করেছে আমার নামে দূর্নাম লটানোর কিন্তু আল্লার রহমতে তারা সফল হয়নি। আমি আমার দায়িত্ব সুষ্ঠ ভাবে পালন করতে পেরেছি। আরও ব্যাপক পরিসরে বাহাদুরপুর ইউনিয়নকে উন্নয়নের চূড়ায় নিয়ে যেতে আমাদের প্রিয় নেতা এমপি মহোদয় হাসানুল হক ইনু ও আলহাজ¦ আব্দুল আলীম স্বপন ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের তেমন কোন আয়ের উৎস নেই, তবে ট্রেড লাইসেন্স গুলোর বিল একটু বাড়িয়ে পরিষদের কোষাগার বৃদ্ধির চেষ্টা করেছি। আমি চাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়েই পরিষদ পরিচালনা করতে।

এলাকার জনপ্রিয় ও বন্ধু চেয়ারম্যান নামে খ্যাত আসিকুর রহমান ছবি ১৯৮৭সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা রঞ্জিত কুমার সিংহ রায় ও সংগ্রামী জননেতা আলহাজ¦ আব্দুল আলীম স্বপনের হাত ধরে জাসদ রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৯১সালে ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পান, অদ্যাবধি সভাপতি দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করে আসছেন। বর্তমানে জাসদকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া এবং জনপ্রিয় করার মূল মহানায়ক তিনি। তিনি বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আব্দুল আজিজ সরদার ও মোছাঃ ছকিনা খাতুনের ৬ষ্ঠ সন্তান। তারা ৮ ভাই ২ বোন। তার প্রিয়তমা সহধর্মিনী সুমনা নাজনীন। তিনি এক সন্তানের জনক।

Post a Comment

0 Comments