মোশারফ হোসেন কুমারখালী। কুমারখালী
উপজেলার দুর্গাপুর পৌর ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা 'রা কার্যত অচল হয়ে পড়ছে
পানির কাছে। মৌসুমি বৃষ্টিতে অধিকাংশ রাস্তাঘাট চলাচলের অযোগ্য হয়ে
পড়ছে। এসব রাস্তায় চলতে গিয়ে নিরুপায় কর্মজীবী মানুষ গুলো। এই দুর্ভোগ এক
দিন, সপ্তাহ বা মাসের নয় বছরের পর বছর। এই অবস্থা চলছে ১৪ বছর ধরে। কিন্তু
পৌর কর্তৃপক্ষ অথবা সরকারের কোনো পর্যায় থেকেই এই দুর্ভোগ নিরসন কিংবা
নিদেনপক্ষে কমিয়ে আনার মতো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে
এলাকা বাসী অসহায় নিরুপায়।দুর্ভোগ থেকে শিগগিরই মুক্তির কোনো পথ তাদের
সামনে খোলা নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও সাময়িক স্বস্তির কোনো পথ দেখাতে
পারছে না এলাকায় বাসী মনে করেন, । কুমারখালী উপজেলা রোডের এলাকা ঘুরে দেখা
গেছে, প্রায় সর্বত্র রাস্তা খারাপ। বৃষ্টির কারণেও রাস্তায় ভাঙন ও গর্ত
সৃষ্টি হয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে পানি জুমে থাকায় শ'শ' গাছ মরে পরিবেশন
বিরুপ প্রভাব পড়ছে। একটি মাত্র খেলার মাঠ উপজেলা পরিষদের এখানে সরকারি সকল
অনুষ্ঠান হয়ে থাকে কিন্তু তাও এখন হচ্ছে না জলাবদ্ধতা কারণে। পানি
থাকায় এলাকায় ছোট- বড় সবাই সকাল বিকেল খেলা ধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে
করে এলাকায় উঠতি বয়স্ক যুবকদের মধ্যে নেশা ও অপকর্মে জড়িত হচ্ছে। ১ নং
ওয়ার্ডের বাসিন্দা উৎপল বলেন আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় আছি
বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতা ফলে ।স্বাভাবিক চলাচলের কোনো উপায়ই নেই। বাড়ির
বাইরে বের হলে রাস্তা উপর পানি বাড়িতে পানি বছরের ৯ মাস পানি থাকে। মোঃ
তারিখ হোসেন জানান এখন বাড়িতে বসবাস করা ও চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে
বাড়িতে পানি নিয়ে অসুবিধায় আছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আ,স,ম ওহেদ পান্না,
বলেন কর্তৃপক্ষ নগরবাসীকে এভাবে নিরুপায় রাখবে এটা ভাবতেই পারিনি।
কর্তৃপক্ষ আমাদের কঠিন অবস্থায় ফেলেছে। এ থেকে মানুষকে উদ্ধারের কেউ নেই।
কুমারখালী মহিলা কলেজের রাজ্জাক জানান কলেজের মাঝে পানি নিষ্কাশনের কোন
ব্যবস্থা নেই। শিপন নামে এক বাসিন্দা জানান সকালে তিনি বৃষ্টি মাথায় করে
বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তার উপর পানি পালিয়ে বাজারে যেতে হয়। এই বিষয়ে
পৌর ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনিছুর রহমান তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ড্রেনেজ
ব্যবস্থা না থাকায় শ'শ' পরিবার কে পানি নিচে বন্দ থাকতে হচ্ছে। পৌর মেয়র
সামসুজ্জামান অরুণের মতে পৌর ১ নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি প্রধান কারণ
হলো ঐ এলাকা একটু নিচু , এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা তেমন না থাকা । বৃষ্টির
পানি বেরোবার জন্য বড় সমস্যা মহা সড়ক কারন মহা সড়কের নিচ দিয়ে ড্রেনেজ
করতে হলে অবশ্যই সেটা কঠিন কাজ। তবে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে ।
অচিরেই সমাধান হবে । তিনি আরো বলেন পুরো পৌরসভার মধ্যে পানি নিষ্কাশনের
জন্য নতুন করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হবে।
0 Comments