চেতনায় কুষ্টিয়া প্রতিবেদক \\ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের
মধ্যে সাপ্লাই চেইন বিশ্বের অন্য যে কোনও
অঞ্চলের মতো ব্যাহত হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও ভারত সোমবার
রেল যোগাযোগের মাধ্যমে সাপ্লাই চেইনকে চালু রাখতে নতুন ও উদ্ভাবনী
পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছে।
ঢাকাস্থ
ভারতীয় হাই কমিশন সোমবার (৪ মে) এক ওয়েব সেমিনারের আয়োজন করে
যেখানে উভয় দেশের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন যে বিদ্যমান রেল
যোগাযোগ পদ্ধতি বিভিন্ন চেক পোস্ট এবং স্থল
কাস্টম স্টেশনে ভিড় হ্রাস করতে পারে এবং এটি উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের
জন্য একটি মিতব্যয়ী, ব্যবহারবান্ধব এবং নিরাপদ বিকল্প হতে পারে। এছাড়া
রেলপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে রক্ষিত হবে যা করোনা ভাইরাস
মোকাবেলায় সহায়ক হবে। বাংলাদেশের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা
মো. রহমতুল মুনিম, বাণিজ্য সচিব, ড. মো. জাফর উদ্দিন, পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া শাখা),
মোহাম্মদ
সরোয়ার মাহমুদ, এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.
শামসুজ্জামান ওয়েব সেমিনারে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী
কর্মকর্তারা সরবরাহ চেইন প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য চলাচল,
ইন্টিগ্রেটেড
চেকপোস্ট / ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনে (ICPs/LCSs)
ব্যবসায়ের
সহজলভ্যতা, নন ট্যারিফ ইস্যুসহ
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত
ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রিভা গাঙ্গুলি দাস আশাবাদী যে দু'দেশের
ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এই করোনা মহামারির সময়ে অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য
সতর্কতা অবলম্বন করে প্রয়োজনীয় পণ্যাদি পরিবহনের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের
মধ্যে বিদ্যমান রেলপথে যোগাযোগের সুযোগটি কাজে লাগাবে। তার
মতে, বাংলাদেশ
ও ভারতের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং বাণিজ্যিক
সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের অন্যতম ভিত্তি। হাই কমিশনার
বাংলাদেশের প্রতি ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের
সাপ্লাই চেইন চালু রাখতে নতুন ও উদ্ভাবনী পদ্ধতি সন্ধানের আহ্বান জানান।
0 Comments